1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে মিলছে নিত্যপণ্য খাবারের জিনিস - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেলের পরিচালক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা শীঘ্রই সেনবাগে শুরু হতে যাচ্ছে “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি পৌর ক্রিকেট লীগ ২০২৫” বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার! বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর দুইদিন পার  দাফন নিয়ে সরকার ও পরিবার দ্বন্দ্বে মরদেহ হাসপাতালেই রামপুরহাটের বারমেশিয়া গ্রামে ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হয় এক আদিবাসী ছাত্রী বীরগঞ্জে বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম দিনব্যাপী দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া নৈরাজ্য : বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ! চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা চকবাজারের বাগদাদীয়া একাডেমির হেফজুল কোরআন বিভাগের সবক দান অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কণ্ঠে ভয়: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে স্বীকার করে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে মিলছে নিত্যপণ্য খাবারের জিনিস

মোঃ ফয়জার রহমান দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৫ Time View

পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে মিলছে নিত্যপণ্য খাবারের জিনিস

মোঃ ফয়জার রহমান দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের আমবাড়ীতে কুড়ানো প্লাস্টিকের বিনিময়ে “নিত্যপণ্য”দিচ্ছে বিদ্যানন্দ!প্লাস্টিক দূষণ রোধে সারাদেশে প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর”চালু করেছে এ প্রতিষ্ঠান। প্লাস্টিক দূষণ একটি ব্যাপক পরিবেশগত সমস্যা,যা বিশ্বব্যাপী বাস্তুতন্ত্র,মানব স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশে এ চ্যালেঞ্জটি বর্তমানে পৌঁছেছে উদ্বেগজনক পর্যায়ে,যা শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যাপক চাপের সম্মুখীন। দেশে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নদী,খাল এবং বঙ্গোপ সাগরে গিয়ে পড়ছে। থ্রি আর কৌশল তথা রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকেল বা ব্যবহার হ্রাস,বারবার ব্যবহার ও নতুন করে অন্য কিছু তৈরি করার কৌশল অবলম্বন করে প্লাস্টিকের চক্রাকার ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করা সম্ভব।সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অসংখ্য তৃণমূল আন্দোলন এবং সামাজিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং সুশীল সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প প্রচারে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই বাস্তবতায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এর আর্থিক সহযোগীতায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন চালু করেছে প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর যেখানে প্রান্তিক মানুষ কুড়ানো বা জমানো প্লাস্টিক জমা দিলে পাবেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী।(২৭শে অক্টোবর রবিবার) সকাল ৮ টায় আব্দুর রহিম রানা হাসকিং মিল চাতালে এই কাযক্রমের উদ্বোধন করেন,কার্যক্রম চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় করেছেন কনফিডেন্স রেসিডেন্সয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা”একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের অস্তিত্বের হুমকি হচ্ছে প্লাস্টিক। যে কোনো সমস্যা সমাধানে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়া সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নদীমাতৃক এই দেশের প্রাণপ্রবাহ বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন প্রাণীকুলকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। এই পৃথিবীকে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য রাখতে হলে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই” বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী রানা আহমেদ বলেন” প্লাস্টিক দূষনের মাত্রা এতই ব্যাপক যে এটি সরকারের একার পক্ষে রোধ করা একেবারেই অসম্ভব। এই দূষন কমাতে দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা। তাই মানুষকে সম্পৃক্ত করতেই আমরা সারাদেশে প্লাস্টিক এক্সেঞ্জ স্টোর চালু করছি।এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে আমরা অবহিত করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্বন্ধে আমরা জনগনকে ধারনা দিতে পারব ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে আমাদের এই আইডিয়া বাস্তবায়নে সরকারও এগিয়ে আসবে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবী খাদিমুল ইসলাম দিনার বলেন’প্লাস্টিক দূষণ একটি ব্যাপক পরিবেশগত সমস্যা,মানুষের ঘরবাড়িতে জমে থাকা প্লাস্টিক’বিদ্যানন্দ’নিচ্ছে বিনিময়ে পাচ্ছে নৃত্যপূর্ণ জিনিস। তাতে করে এলাকার পরিবেশ ভালো থাকছে এবং বিনিময়ে তারা পাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
সরেজমিনে দেখা যায় আমবাড়ী বাজার সংলগ্ন ৩০০ প্রান্তিক পরিবার তাঁদের কুড়ানো প্লাস্টিক নিয়ে এসেছে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে। তারা বাজার মুল্যের চেয়েও দ্বিগুন দামে প্লাস্টিক বিনিময় করে তাঁদের প্রয়োজনীয় পণ্য বাছাই করে ক্রয় করছেন। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষারথীরাও কুড়ানো প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে পাচ্ছে শিক্ষা উপকরণ। উল্লেখ্য ২০২২ সালে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্লাস্টিক দূষণ কমানোর জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহন করে যার নাম“প্লাস্টিক এক্সেঞ্জ স্টোর” যেখানে মানুষ তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকপণ্যের খালি পাত্র বোতল বা পলিথিন এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারেন চাল ডাল তেল চিনি ও লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। এতে স্থানীয়দের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা যেমন পূরণ হয়েছে,ঠিক তেমনই কমেছে পরিবেশ দূষণ! স্থানীয় অধিবাসীরা নিজেরাই সমুদ্র সৈকত থেকে কুড়িয়ে প্লাস্টিক বিদ্যানন্দের স্টোরে জমা দিয়ে নিত্যপণ্য নিয়ে যান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে এই প্রজেক্টের অভূতপূর্ব সফলতার প্রেক্ষিতে আমরা এবছর দেশের ৬৪ টি জেলায়“প্লাস্টিক এক্সেঞ্জ স্টোর”স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই