1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
বাণিজ্য সচিব নিয়োগে ৩৫ কোটির বাণিজ্য - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেলের পরিচালক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা শীঘ্রই সেনবাগে শুরু হতে যাচ্ছে “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি পৌর ক্রিকেট লীগ ২০২৫” বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার! বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর দুইদিন পার  দাফন নিয়ে সরকার ও পরিবার দ্বন্দ্বে মরদেহ হাসপাতালেই রামপুরহাটের বারমেশিয়া গ্রামে ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হয় এক আদিবাসী ছাত্রী বীরগঞ্জে বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম দিনব্যাপী দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া নৈরাজ্য : বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ! চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা চকবাজারের বাগদাদীয়া একাডেমির হেফজুল কোরআন বিভাগের সবক দান অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কণ্ঠে ভয়: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে স্বীকার করে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

বাণিজ্য সচিব নিয়োগে ৩৫ কোটির বাণিজ্য

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
  • Update Time : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২১ Time View

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো আবারও ভয়াবহ প্রশ্নের মুখে। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে বাণিজ্য সচিব নিয়োগে ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসতেই দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এই অভিযোগ রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়ের ধারণাকে গভীর সংকটে ফেলেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্য পাচার মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য সচিব পদে বসাতে বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে। অথচ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে তাকে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু সেই আইন ভঙ্গ করে বিতর্কিত এই কর্মকর্তাকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পদে বসানো নজিরবিহীন অনিয়ম বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞরা।

মাহবুবুর রহমান পূর্বে আইসিটি বিভাগের ডেটা সেন্টারের দায়িত্বে ছিলেন। তার সময়েই কোটি কোটি নাগরিকের সংবেদনশীল তথ্য পাচারের ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ঘটেছিল। তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে জনরোষ দানা বেঁধে আছে। তবুও তাকে পদোন্নতি দেওয়া এবং তার পেছনে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আজ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

জুলাই বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করেছে—পুরনো কুশাসনের ধারা আরও নগ্নভাবে ফিরে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। জনমত বলছে: “শেখ হাসিনার সময়ে রাঘববোয়াল দুর্নীতিবাজরা ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকত, আর এখন সবকিছু ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি যেন বৈধতার সনদ পেয়ে গেছে।”

অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। লোপাট, ঘুষ, চাঁদাবাজি, ভেজাল পণ্য ব্যবসা, এমনকি মাদক কারবারেও এনসিপি, বিএনপি, জামাত, গণঅধিকার ও এবি পার্টির নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। জুলাই বিপ্লবের আহত থেকে শুরু করে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও এখন তদবির বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ বাস্তবতা প্রমাণ করছে—রাষ্ট্রযন্ত্র কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, মেধা, যোগ্যতা ও সততার পরিবর্তে যদি ঘুষ–চাঁদাবাজি আর রাজনৈতিক তদবিরই নিয়োগের প্রধান নিয়ামক হয়, তবে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়তে বেশি সময় লাগবে না। উন্নয়ন স্থবির হবে, জনগণের আস্থা ভেঙে যাবে, দেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে। তাই বাণিজ্য সচিব নিয়োগে ঘুষ কেলেঙ্কারি ও এনসিপি নেতা নাহিদের ভূমিকা নিয়ে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই