কেন্দুয়া জয়হরি স্কুলে শিক্ষক অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ”
মোঃ আলী আশরাফ ইলিয়াস (নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি)
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির চৌধুরী এবং সহকারী শিক্ষক হারনুর রশীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাদের অপসারণের একদফা দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে ছাত্ররা। আজ রবিবার ২৫ আগষ্ট কেন্দুয়া পৌরসভার সাজিউড়া মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ করে।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করতে স্কুলের ছাত্রদের কাছ থেকে ফান্ড তোলার সময় প্রধান শিক্ষক তাদের বাঁধা দেয় এর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।এমনিতেই বিগত দিনগুলোতে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এছাড়াও জানায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাদের মারধর করে আর মেয়ে শিক্ষার্থীরা বোরকা পড়ে এলে বোরকা তুলে দেখে নিচে স্কুল পায়জামা আছে কিনা যেটা খুবই অস্বস্তিকর। সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশীদ মেয়েদের গায়ে হাত তুলে যা তাদের চোখে যৌন নিপিড়ন বলে জানায়।স্কুলের শিক্ষার মান,মানহীন টিফিন ও আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগও করে প্রধান শিক্ষকের নামে। এই নিয়ে ইউনও মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে তারা। এই অভিযোগ করার পর ইউএনও মহোদয় বসে ব্যাবস্হা নেবেন বলার পর তার অপেক্ষায় না থেকে তোমরা রাস্তায় নেমে এসেছ কেন জিজ্ঞেস করলে জানায়, প্রধান শিক্ষক ওনার সহকারী শিক্ষক এর কাছে আন্দোলনরত এক ছাত্র টাকা চেয়েছে বলে ইউনও মহোদয়ের কাছে বলেছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে সকল ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসছে বলে জানায়।
বিক্ষোভ চলাকালীন সেনাবাহিনীর কেন্দুয়ায় দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন এসে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।প্রশাসন সঠিক ব্যাবস্হার আশ্বাস দিলে তারা স্কুলের ভেতরে চলে আসে।
এই নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্ররা স্কুলে বৃক্ষরোপনের জন্য টাকা তুলতে এলে আমরা তাদের কাজে সমর্থন জানাই এবং বলি তোমরা স্কুলড্র্যাস পরে এসো।এতে করে ছাত্ররা অসন্তুষ্ট হলে আমরা গতকাল সকল শিক্ষকগণ তাদের ডেকে এনে দুই কথা বলে দুঃখপ্রকাশ করেছি এবং তারা তা মেনে নিয়ে চলে গেছে। আজ হঠাৎ আবার এমন ঘটনায় তিনি বিব্রত হয়েছেন।
সেখানে ইউএনও মহোদয়, ওসি মহোদয় এবং এসিল্যান্ড মহোদয়ের উপস্থিতিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিসে ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এবিষয়ে ইউএনও জনাব ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, আমার কাছে ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ জানালে তাদের অভিযোগ নিয়ে স্কুলে বসার ও ব্যাবস্হা নেয়ার কথা বলার পর তারা রাস্তায় নেমে এসেছে যা সঠিক হয়নি তাদের। তিনি সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কথা শুনে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্হা নেয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্ররা তা মেনে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যায়।