জরুরী উদ্ধার প্রয়োজন কুমিল্লা নোয়াখালী লক্ষপুর ফেনী সদর ছাগলনাইয়া সহ কয়েকটি উপজেলায়
সৈয়দ নুর আলম বাদশা
সম্পাদকঃ- দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ সংবাদ।
ফেনী সদর উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের ৯ টা ওয়ার্ড প্রায় এক লক্ষ মানুষ পানি বন্দী আছে।
এরমধ্যে অধিকাংশ বাড়ি ঘর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কেউ উদ্ধার অভিযান চালায় নাই।
বিশেষ করে ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দী আছে।
যেসব স্থানে মানুষ পানিবন্দী আছে ওই জায়গার নাম
– রায়হান মেম্বার বাড়ীর ৩ টা ছাদে ২০০ মানুষ অবস্থান করছে। গত কাল একজন মারা গেছে এ বাড়ীতে।
– উত্তর ছনুয়া ইফতেদায়ী মাদ্রাসার ২য় তলায় ১৫০ জন অবস্থান করছে।
– মুন্সি বাড়ি ১ টা ছাদে ৩০+ অবস্থান করছে।
– কোম্পানি বাজারের ২ টা বিল্ডিং এর ২য় তলায় ৩০০+ মানুষ অবস্থান করছে।
– পূর্ব ছিলোনিয়া জামে মসজিদ ও পূর্ব ছিলোনিয়া মাদ্রাসার ২ টা বিল্ডিং এর ২য় তলায় ৩০০+ অবস্থান করছে।
– মৌলভী জহুরুল হকের নতুন বাড়িতে একটা ৭-৮ মাসের শিশু এবং ৬-১১ বছর পযন্ত ৪ জন সহ মোট ১৩ জন অবস্থান করছে ছাদে উপর, ওইখানে ছাদে পানি উঠার বাকি আর ৩ ফুট।
– পূর্ব ছিলোনিয়া মাখন পালের ৮ তলা বাড়ী অবস্থান করছে ৩০০+ মানুষ।
– পূর্ব ছিলোনিয়া কুদ্দুস মেম্বারের বাড়ি ছাদে ১০০+ মানুষ অবস্থান করছে।
– ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের দারুস সালাম মাদ্রাসার ২য় তলায় ২০০ মানুষ অবস্থান করছে।
– ১ নাম্বার ওয়ার্ডে দমদমা হোসেন চেয়ারম্যানের বাড়িতে ৫০+ শিশু সহ মুরুব্বীরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবস্থান করছে।
বিশেষ করে এসব জায়গা গুলোতে এখনো কোনো উদ্ধার অভিযান চালানো হয় নাই। নাম না জানা আরো অনেকই বাড়ীর ছাদে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবস্থান করছে।
অধিকাংশ বাড়িতে পানি শুকনা খাবার প্রয়োজন এখন, সবার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ এসব জায়গাগুলোতে তাড়াতাড়ি উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করা, এবং শুকনা খাবার ও পানি প্রয়োজন অনেক বেশি। ছনুয়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একই চিত্র মানুষ এভাবেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। দয়া করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা তাড়াতাড়ি আমাদের পরিবারগুলোকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করুন।