1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
মহানবী (সা.) কে নিয়ে মানহানীকর বক্তব্য, রাজশাহীতে মুসল্লীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের পাশে থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার — ৩ জন । ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো– সংবাদ সম্মেলনে –রায়হান অপু ,, তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে বিএনপি নেতা হামিদ দিনাজপুরে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীরা। ইএলজিডি সড়ক পাকা (আর সি সি) ঢালায় পরিদর্শন ও উদ্বোধন সিএমপির চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে আটক-০৮ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের উপর হামলার পর উল্টো ২৭ সাংবাদিকের নামে মামলা : সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নিন্দা ও প্রতিবাদ ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক । ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ অফিস দখলে নিল জুলাই যোদ্ধারা ! ঠাকুরগাঁওয়ে শিল্প পণ্য বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন !

মহানবী (সা.) কে নিয়ে মানহানীকর বক্তব্য, রাজশাহীতে মুসল্লীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

সাগর হাসান জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী।
  • Update Time : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০২ Time View

মহানবী (সা.) কে নিয়ে মানহানীকর বক্তব্য, রাজশাহীতে মুসল্লীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

মহানবী সা. কে নিয়ে মানহানীকর বক্তব্য প্রদান করায় রাজশাহীতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী’রা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। শনিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্ট এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

শুরতেই মুসল্লী’রা বলেন, কিছুদিন আগে ভারতে প্রিয় নবীজীর শ্বানে মানহানীকর বক্তব্য দিয়েছে ভারতের এক হিন্দু পুরোহিত, সে পৃথিবীর যে-প্রান্তেই থাকুক না কেনো, তাকে শরীয়ত অনুসারে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবেই।

সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র শানে মানহানী কর বক্তব্য দেয় দেয়ারামগিরি নামক এক মুশরিক কুলাঙ্গার হিন্দু পুরোহিত ।

প্রিয় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তাকে শরিয়ত মোতাবেক শাস্তি প্রদান করা হোক।

মুসল্লী’রা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন কুলাঙ্গার রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে।
ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র প্রিয় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।

ভারতে প্রিয় নবীজি (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লান) উনার মুবারক শানে যে মুশরিকরা মানহানী করেছে, সেই মুশরিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইলিশ পাঠাচ্ছে। এ থেকে আর কষ্টের বিষয় কি হতে পারে? অপরাধী কখনো ইলিশ পাওয়ার যোগ্য নয়।

বাংলাদেশ সরকারকে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত। ভারতে যখন- মুসলমানরা চরম নির্যাতিত হচ্ছে, মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে, গরুর গোস্তের জন্য মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুরা শাহী হালে আছে। তাদের সরকারী সহায়তায় পূজা করতে দেয়া হচ্ছে। এটা কখনই ইনসাফ নয়। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে-প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হতো। অথচ ঈদে কুরবানীতে মসজিদগুলোতে কিছুই দেয়া হতোনা। এটা ছিলো আওয়ামীলীগের চরম বে-ইনসাফ। পূজাতে কোন ত্রাণ দেয়া যাবে না।

বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা করার প্রয়োজন হলে মন্দিরের ভেতরেই পূজা করা উচিত, মন্দিরের বাইরে মণ্ডপ বানিয়ে জনদুর্ভোগ তৈরী করা কখনই মেনে নেয়া যায় না। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন পূজা শেষে মূর্তি উন্মুক্ত পানিতে ডুবিয়ে পরিবেশ দূষণ না করে সেদিকেও পরিবেশ অধিদফতরকে দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানানো যাচ্ছে, ভারত বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু। এটা বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বীকার করতে হবে। নেপালের হিন্দুরা ভারত বিরোধী হলে, বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারত বিরোধী হতে সমস্যা কোথায়?

দ্বীন ইসলাম বিরোধী কুফুরী আক্বিদা আমরা মানি না আর মুসলমান কেউ মানতে পারবে না।

ভারতে আমাদের প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে এত বড় কটূক্তির ঘটনা ঘটে গেছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উচিত তাদের আসন্ন দূর্গা পূজায় এ ব্যাপারে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা এবং কটূক্তিকারীর শাস্তি দাবী করা। হিন্দুরা যে দেশদ্রোহী নয় তা প্রমাণের জন্য যারা অখন্ড ভারতের কথা বলে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াটা হিন্দুদেরই দায়িত্ব।

ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার। দূর্গা পূজাকে সার্বজনীন বলা যাবে না, রাস্তা বন্ধ করে মণ্ডপ নয়, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পজা নয়, পূজাকে কেন্দ্র করে যত্রতত্র মদ পানকরা চলবে না, উন্মুক্ত পানিতে পূজার মূর্তি ডুবিয়ে পানি দূষণ চলবে না, দূর্গা পূজার ছুটি সাধারণ নয়, বরং ঐচ্ছিক করতে হবে, ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশে যারা ‘অখণ্ড ভারত’ চাইবে, তাদের গ্রেফতার করে, সর্বচ্চ শাস্তি দিতে হবে, ভারতীয় কুলাঙ্গার রামগিরির একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, বিজেপি সন্ত্রাসী নিতেশ রানেকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে। মানববন্ধনে ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কামাল হোসেন, কোর্ট কলেজ, জুবায়ের হোসেন, সুজাউদ্দৌলা কলেজ, মোমিনুল ইসলাম, আইন বিভাগ, রাবি, রনি ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগ রাবি, ইয়াসিন আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,রাজশাহী কলেজ।

শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আলাউদ্দিন , বসন্তকেদার দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা , মোহনপুর, ডা: মো: মাহবুবুল আলম, চেয়ারম্যান, বিসিএস ইউনিক , রাজশাহী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরেফিন, সবুজ, নিউ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই