সোমবার থেকে আমডাঙ্গা খালে কাজ শরু করতে হুশিয়ারি দিলেন।
অভয়নগর প্রতিনিধি মাহাদী হাসান মেহেদী
জলাবদ্ধ এলাকাবাসীর ডাকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দাড়িয়ে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিত বাওয়ালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী কাল সোমবার থেকে আমডাঙ্গা খাল সংস্কার কাজ শুরু করতে হবে না হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ভবদহ এলাকায় এ বছর ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ১০ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এক লাখ লোক বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। তাদের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই। সরকার পানি সরানোর জন্য এ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’
জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকা থেকে দ্রত পানি সরানোর দাবিতে ভবদহ এলাকাবাসীর আয়োজনে রোববার দুপুরে যশোর –খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়ায় মানববন্ধন করেন। দুপুর দুইটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এলাকার তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিল কপালিয়ায় দ্রুত টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা জোয়ারাধার) চালু ও আম ডাঙা খাল সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
গাজী ইকবাল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, সংগ্রাম কমিটির নেতা শিবপদ বিশ্বাস,সাধন বিশ্বাস , কানু বিশ্বাস,অভয়নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডব্লু কাজী, অভয়নগর উপজেলা জামাতের আমীর সরদার মো. শরীফ হোসেন, উপজেলা ইমাম পরিষদের সম্পাদক মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান, মিজানুর রহমান, বশির উদ্দিন, মিতা বেগম, কলেজ শিক্ষার্থী মহিব্বুল্লাহিল মহিদ, অপিয়া অলিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বৃষ্টির পানি ও যশোর শহর থেকে আসা পানিতে ভবদহের ব্যাপক এলাকার দুই শতাধিক গ্রামের বাড়িঘর, স্কুল, কলেজ, রাস্তা ঘাট, ধর্মীয় উপসানলয় এখন পানির তলে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের। ভেসে গেছে ফসলি জমি। বিল গুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুনএলাকা। এলাকায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়েপড়েছে। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।মানববন্ধন থেকে দ্রত পানি সরানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে আগামী ছয় অক্টোবর রোববার ভবদহ দিবসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুসিয়ারী দেওয়া হয়। এসময় অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবতী হাজির হয়ে জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে করণীয় সব কিছু করার আশ্বাস দেন।