দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক একজন,সাংবাদিকতার নামে অপ-সাংবাদিকতায় মেহেদী হাসান
ছাবেদুল সরকার-পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
সরকারি আইন লঙ্ঘন করে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষক চাকরি করেন দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।জন্ম সূত্রে জানা যায়,তিনি সাঁথিয়া উপজেলার ধূলাউড়ি ইউনিয়নের তৈয়ব আলীর ছেলে চাকরির কারণে ফরিদপুর উপজেলায় ভাড়া থাকেন।সেই সাথে ফরিদপুর উপজেলার প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন এবং ভোরের কাগজ এর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন পত্রিকায় সেই সাথে শিক্ষকতা করেন। প্রায় দুই বছরের ও বেশি সময় চাকরী করে আসছেন। আইন লঙ্ঘন করা এই শিক্ষক মোঃ মেহেদী হাসান এমপিও ভুক্ত দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতে বনওয়ারী নগর ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক, যাহার এমপিও ইনডেক্স নাম্বার হলো ( R2009194)। অপরটি পৌর মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে চাকরী করছেন। যাহার এমপিও ইনডেক্স নাম্বার হলো (N56851728)। ফরিদপুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রের দুইটি প্রতিষ্ঠান। আর সেই দুই বড় প্রতিষ্ঠানে বেতন ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। এবং পাবনা ৩ আসনের সাবেক এম পি মকবুল হোসেন এর সাথে আতাত করে এবং সাথিয়ার সাবেক এমপি সামসুল হক টুকুর আত্বীয় পরিচয় দিয়ে মকবুল হোসেন কে দিয়ে কোনো সার্কোলার না দিয়েই পৌর মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে নিয়োগ নেন।এবং বনওয়ারী নগর ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা প্রভাষক থেকে মাদরাসার বিভিন্ন নিয়োগ বানিজ্য করেন এবং হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। মকবুল এমপি আমার নিজেস্ব লোক বলে নিয়োগ বানিজ্য করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এক শিক্ষক দুই প্রতিষ্ঠান চাকরি করে সরকারের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এই বিষয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও জনসাধারণ জানান, এই প্রতারকের সর্বচ্চ শাস্তি হওয়া দরকার বলে তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মোঃ মেহেদী হাসান দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কথা স্বীকার করেন। এবিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শিরিন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এক শিক্ষক দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এটা আমার জানা নাই।
পত্রিকায় কাজ করার জন্য সাবেক এম,পি মকবুল হোসেনের সাথে ধীরে ধীরে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পান।সুযোগ সুবিধা নিয়ে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিতেন উপজেলা থেকে এই থেকে তার ফুলে ফেঁপে ওঠা শুধু হয়।শিক্ষকতা করে কঝনোই কি সম্ভব হবে জায়গা জমি করা এতে তিনি ফরিদপুর উপজেলার বাসিন্দা হয়ে নিজেকে সোপর্দ করেন সবার মাঝে।বিভিন্ন জায়গাতে অনিয়ম দূর্নীতিবাজদের সাথে সখ্যতা করে থানার ওসির সাথে সখ্যতা করে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে জামায়াত বিএনপিকে ধরিয়ে দেওয়া এবং সাবেক সাংসদ এর কাছ থেকে টাকা নেওয়াই ছিলো তার মূল উদ্দেশ্য।আবার নামে বেনামে মানুষকে মামলা মকদ্দমায় জড়ানো সেই মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার নাম করে বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়াই মূল উদ্দেশ্য।আওয়ামীলীগ সরকারের পতনকালে এই সকল চাটুকার দালাল সাংবাদিক নামের সাংঘাতিকদের তৎপরতা কমে যায়।তবে এই সাংবাদিক নামের সাংঘাতিক মেহেদী হাসান নামের অপ-সাংবাদিকতাই ছিলো মূল কাজ।এই সকল মানুষ যদি হয় সংবাদ পত্রের প্রাণ তাহলে জনগন তো এদের রশানলে পরবেই এথেকে কোন বাঁচার উপায় নেই তাই অপ-সাংবাদিকতা নিরসন করতে হবে।