
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির চেতনার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল নেতৃত্বের কেন্দ্র। অথচ আজ সেই পবিত্র প্রাঙ্গণকে ঘিরে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে স্বাধীনতা–বিরোধী শক্তি জামাত–শিবির।
তাদের পরিকল্পনা স্পষ্ট আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দখল করা। একবার তারা ডাকসুর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি থেকে প্রশাসন, আর প্রশাসন থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার এটাই তাদের ধাপে ধাপে অগ্রযাত্রার কৌশল।
আমরা ভুলে গেলে চলবে না, ১৯৭১ সালে এ শক্তিই পাকিস্তানি সেনাদের দোসর হয়ে বাঙালির রক্ত ঝরিয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও তারা একই চেহারা, ভিন্ন কৌশলে ফিরে এসেছে। ধর্মের আবেগ, বিদেশি অর্থায়ন, আর গোপন রাজনৈতিক আশ্রয়ে তারা আজও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ডাকসু দখল তাদের কাছে কেবল একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিজয় নয়, বরং গোটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণের প্রথম সোপান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তচিন্তার দুর্গ, প্রগতির আশ্রয়স্থল হিসেবে রক্ষা করা আজ সময়ের দাবি। এখানে যদি জামাত–শিবিরের বিষবীজ গজিয়ে ওঠে, তবে তা গোটা জাতির গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
সুতরাং, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, ছাত্রসমাজ, শিক্ষক এবং সচেতন নাগরিকদের এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডাকসু নির্বাচনের আড়ালে জামাত–শিবিরের নীলনকশা প্রতিহত করা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নয়, বরং বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অপরিহার্য।