1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
পটুয়াখালী গলাচিপে আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেলের পরিচালক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা শীঘ্রই সেনবাগে শুরু হতে যাচ্ছে “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি পৌর ক্রিকেট লীগ ২০২৫” বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার! বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর দুইদিন পার  দাফন নিয়ে সরকার ও পরিবার দ্বন্দ্বে মরদেহ হাসপাতালেই রামপুরহাটের বারমেশিয়া গ্রামে ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হয় এক আদিবাসী ছাত্রী বীরগঞ্জে বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম দিনব্যাপী দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া নৈরাজ্য : বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ! চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা চকবাজারের বাগদাদীয়া একাডেমির হেফজুল কোরআন বিভাগের সবক দান অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কণ্ঠে ভয়: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে স্বীকার করে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

পটুয়াখালী গলাচিপে আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি

মোঃ নুহু ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালী।। পটুয়াখালী
  • Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ Time View

পটুয়াখালী গলাচিপে আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি

মোঃ নুহু ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালী।। পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের বড়চত্রা গ্রামে বসতবাড়ীর আঙিনায় গড়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা। লোকালয়ের ভেতর আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা করার নিয়ম না থাকলেও প্রকাশ্য চলছে এই কারখানা। এখান থেকে প্লাস্টিক রিসাইকল এর কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত পানি ফেলা হচ্ছে খালের পানিতে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে খালের পানি নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমির উর্বরতা। অন্যদিকে কারখানার বর্জ্য পোড়ানোর কালো ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্লাস্টিক কুচি করার মেশিনের বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘুম ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় বিগ্ন ঘটছে। এছাড়া চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার নারী,শিশু,বৃদ্ধ ও কারখানার শ্রমিকরা। জানা যায়, ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করার সুবাদে ডাকুয়া ইউনিয়নের মালেক সরদারের ছেলে মো.আল আমিন প্লাস্টিক রিসাইকল করার কাজ শিখে। পরে নিজ এলাকায় বসতবাড়ির আঙিনায় মেসার্স লিমন প্লাস্টিক নামে কারখানা গড়ে তোলে। সেখানে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। মূলত হকারদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী কিনে প্রথমে তার রং অনুযায়ী আলাদা করা হয়। এরপর টুকরো করে ধুয়ে শুকানোর পর মেশিনে ভেঙে তৈরি করা হয় কুচি। এসব কুচি এখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,একদিকে বোতল ও বিভিন্ন ভাঙা প্লাস্টিক স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একপাশে পুরাতন প্লাস্টিক ভর্তি বস্তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে প্লাস্টিকের রঙ অনুযায়ী টুকরো করে আলাদা করার কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারখানার আশেপাশে যত্রতত্র পড়ে আছে বিভিন্ন বর্জ্য ও প্লাস্টিকের টুকরা। এসবের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, স্যালেইনের ব্যাগসহ অন্যান্য বর্জ্য রয়েছে। এসব বর্জ্যের মধ্যে কারখানাটিতে দেখা যায় শিশুরা হাঁটাহাঁটি ও খেলা করছে। আবার প্লাস্টিকের টুকরা আলাদা করে কেমিক্যাল যুক্ত পানিতে ধোয়ার পরে পানি ফেলা হচ্ছে খালের পানিতে। যে ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হয়,সেখানে জমে আছে ময়লা পানি,মশা মাছি সহ পোকামাকড় উড়ছে। এক পাশে পোড়ানো হয় প্লাস্টিকের বিভিন্ন বর্জ্য সেখানে পড়ে আছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন টুকরা। জানা যায়,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এর আগে কারখানাটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল প্রশাসন। স্থানীয় শাকিল,সুলতান মৃধা,জব্বার,ইউসূফ, শেফালি,কোহিনুর ও আখিনুরসহ একাধিক বাসিন্দারা জানায় রান্নার পানি,গোসলের কাজে ব্যবহৃত খালে কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত পানি মিশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে। বিষাক্ত পানির কারণে ফসলের জমির উর্বরতা কমে গেছে। দিনে রাতে প্লাস্টিক কুচি করার মেশিনের বিকট শব্দে ঘুম ও পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ বা বিপদে পরে একজন অন্যজনকে ডাকলেও কোন কিছু শোনা যায় না। শব্দে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়ার অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধদের। প্লাস্টিকের বর্জ্য পোড়ানোর কালো ধোঁয়া পরিবেশ ও বায়ু দূষণ করছে। এলাকায় বেড়ে চলছে হাঁপানি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগবালাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুজ্বর সহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধ করে নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দিয়ে জনস্বাস্থ্য,প্রকৃতি,পরিবেশ ও ফসল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে মেসার্স লিমন প্লাস্টিক কারখানার মালিক আলা আমিন বলেন,পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স সবকিছু ওকে করে আমি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের ভালো মন্দ মিলিয়ে কারখানা চালাতে হয়।” এসময় তার পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স দেখালে সেখানে দেখা যায় ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স আনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কারখানা খুলে বসেছে আল আমিন। স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও সরেজমিনে কারখানাটি পরিদর্শন করে দেখবো। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো”। তিনি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন বলেও জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন,পরিবেশ গত ছাড়পত্র পাওয়ার পরে কোন কারখানা যদি পরিবেশ দূষণ করে,তাদের দ্বারা মানুষের ক্ষতি হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিবে”।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই