বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ এ আগস্ট স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে। যেভাবে সারাদেশে লুটপাট ভাঙচুর ও পুলিশ বাহিনীর উপরে হামলা ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুটপাট হত্যা সহ সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এখন আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করেছে । বলে অভিযোগ করেন চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলায়ত।
রিপোর্টঃ-
সৈয়দ নুর আলম বাদশা
সম্পাদকঃ
দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ সংবাদ।
প্রিয় চাটখিল সেীনাইমুড়ী বাসি আসসালামু আলাইকুম,
আমরা সোনাইমুড়ি এবং চাটখিলের জনসাধারণ প্রায় সবাই এটা জানি যে, বিগত ৫ই আগস্ট তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে এবং থানা গুলো লুটপাট করার চেষ্টা করে। দেশের অন্যান্য এলাকার মত আমাদের সোনাইমুড়ি থানাও চাটখিল থানায় আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষা এবং থানায় রক্ষিত সরকারি মালামাল রক্ষার খাতিরে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায়। সে সময় সোনাইমুড়িতে তিনজন আন্দোলনকারী নিহত হয় পুলিশের গুলিতে এবং আন্দোলনকারীদের আক্রমণে দুইজন পুলিশ নিহত হয়। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত দুই এক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে যে, নিহত তিনজনের স্বজনরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে চাটখিল সোনাইমুড়ির আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা করছে। একটি মামলা ইতিমধ্যে হয়েছে, যেখানে চাটখিল ও সোনাইমুড়ির আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে আসামি করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ অন্যায়। আপনারা সবাই জানেন ০৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তায় ছিল না।
আমরা চাটখিল ও সোনাইমুড়ির জনসাধারণ আল্লাহর কাছে বিচার চাইলাম।
যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং যে দুজন পুলিশ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আল্লাহতালা জান্নাত নসিব করুক এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সহানুভূতি প্রকাশ করছি। কিন্তু মিথ্যা মামলা দিয়ে চাটখিল ও সোনাইমুড়ির আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি করা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।