1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!! - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের পাশে থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার — ৩ জন । ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো– সংবাদ সম্মেলনে –রায়হান অপু ,, তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে বিএনপি নেতা হামিদ দিনাজপুরে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীরা। ইএলজিডি সড়ক পাকা (আর সি সি) ঢালায় পরিদর্শন ও উদ্বোধন সিএমপির চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে আটক-০৮ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের উপর হামলার পর উল্টো ২৭ সাংবাদিকের নামে মামলা : সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নিন্দা ও প্রতিবাদ ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক । ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ অফিস দখলে নিল জুলাই যোদ্ধারা ! ঠাকুরগাঁওয়ে শিল্প পণ্য বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন !

নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!!

সাংবাদিক মো: আবু ছালেহ (বিপ্লব)// ষ্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)
  • Update Time : শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯৬ Time View

নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!!

সাংবাদিক মো: আবু ছালেহ (বিপ্লব)//
ষ্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)

নয়াদিল্লিতে কিডনি বেচাকেনা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ার রাসেল আহমেদ ঢাকায় বাড়ি-গাড়ির মালিক বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

৩০ বছর বয়সী রাসেলের জন্ম ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। প্রায় ৮ বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে পরিবারের দাবি। 

রাসেলের ছোটবেলার সহপাঠী স্বপন জানান, তারা একত্রে ২০১৪ সালে ধরমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাসেল কিছুদিন ঢাকায় পড়াশোনাও করেছেন। প্রায় ৮ বছর আগে তিনি ভারতে  চলে যান। তারা ফেসবুক ও গণমাধ্যমে তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেখেছেন। গত ঈদুল ফিতরের আগে তিনি বাড়িতে এসে কিছুদিন ছিলেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক আত্মীয় বলেন, ‘শুনেছি দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্ত অ্যাপোলো হাসপাতালে রাসেল দোভাষী হিসেবে কাজ করেন। তিনি ঢাকায় বিয়ে করেছেন, পরিবার ওখানেই থাকেন। ঢাকায় তাঁর ফ্ল্যাট বাড়ি ও গাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসেন। আর তাঁর মেজো ভাই সোহেল রানাও তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে দেখা করেন। রাসেল ধরা পড়ার পর তিনি বাংলাদেশে চলে এসেছেন।’ 

ওই আত্মীয় জানান, কুষ্টিয়ার অনেক লোক ভারতে গিয়ে তাঁর শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতেন। দেশে এসে তারা রাসেলের ব্যাপক প্রশংসা করতেন।

তবে  রাসেলের কাছে বারবার যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন সোহেল রানা।  বলেন, ‘আমি অসুস্থতার জন্য ভারতে যেতাম। বর্তমানে আমি রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে কর্মরত।’ 

রাসেলের মা আলেকা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন ভারতে থাকে। শুনেছি সেখানকার এক হাসপাতালে চাকরি করে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ঈদুল ফিতরের আগে তাঁর বাড়িতে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর ছিলেন। 

ঢাকায় পূবালী ব্যাংকে কর্মরত রাসেলের বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো আমরাও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি তার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা। আমরা চাই অপরাধ করলে তার শাস্তি হোক।’  

সম্প্রতি ভারতে কিডনি পাচার চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গ্রেপ্তারকালে রাসেলের কক্ষ থেকে কিডনিদাতা ও গ্রহীতাদের  দুটি ডায়েরি ও ৯টি পাসপোর্ট জব্দ করেছে পুলিশ।

ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরেই  রাসেল ভারতে থাকেন। এলাকায় এলে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করেন।

বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক রোগী ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করান। ভারতে গ্রেপ্তারকৃতরা নিজ নিজ এলাকায় বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়ে কিডনিদাতাদের প্রলুব্ধ করতেন। দাতারা একেকটি কিডনির বিপরীতে ৫-৬  লাখ রুপি পেতেন। বিপরীতে চক্রটি একেকটি কিডনির জন্য রোগীদের কাছ থেকে ২৫-৩০ লাখ রুপি আদায় করত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই