1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!! - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেলের পরিচালক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা শীঘ্রই সেনবাগে শুরু হতে যাচ্ছে “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি পৌর ক্রিকেট লীগ ২০২৫” বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার! বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর দুইদিন পার  দাফন নিয়ে সরকার ও পরিবার দ্বন্দ্বে মরদেহ হাসপাতালেই রামপুরহাটের বারমেশিয়া গ্রামে ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হয় এক আদিবাসী ছাত্রী বীরগঞ্জে বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম দিনব্যাপী দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া নৈরাজ্য : বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ! চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা চকবাজারের বাগদাদীয়া একাডেমির হেফজুল কোরআন বিভাগের সবক দান অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কণ্ঠে ভয়: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে স্বীকার করে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!!

সাংবাদিক মো: আবু ছালেহ (বিপ্লব)// ষ্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)
  • Update Time : শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৫ Time View

নয়া দিল্লিতে কিডনি ব্যাবসায়ী কারবারী মো: রাসেল ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার!!

সাংবাদিক মো: আবু ছালেহ (বিপ্লব)//
ষ্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)

নয়াদিল্লিতে কিডনি বেচাকেনা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ার রাসেল আহমেদ ঢাকায় বাড়ি-গাড়ির মালিক বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

৩০ বছর বয়সী রাসেলের জন্ম ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। প্রায় ৮ বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে পরিবারের দাবি। 

রাসেলের ছোটবেলার সহপাঠী স্বপন জানান, তারা একত্রে ২০১৪ সালে ধরমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাসেল কিছুদিন ঢাকায় পড়াশোনাও করেছেন। প্রায় ৮ বছর আগে তিনি ভারতে  চলে যান। তারা ফেসবুক ও গণমাধ্যমে তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেখেছেন। গত ঈদুল ফিতরের আগে তিনি বাড়িতে এসে কিছুদিন ছিলেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক আত্মীয় বলেন, ‘শুনেছি দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্ত অ্যাপোলো হাসপাতালে রাসেল দোভাষী হিসেবে কাজ করেন। তিনি ঢাকায় বিয়ে করেছেন, পরিবার ওখানেই থাকেন। ঢাকায় তাঁর ফ্ল্যাট বাড়ি ও গাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসেন। আর তাঁর মেজো ভাই সোহেল রানাও তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে দেখা করেন। রাসেল ধরা পড়ার পর তিনি বাংলাদেশে চলে এসেছেন।’ 

ওই আত্মীয় জানান, কুষ্টিয়ার অনেক লোক ভারতে গিয়ে তাঁর শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতেন। দেশে এসে তারা রাসেলের ব্যাপক প্রশংসা করতেন।

তবে  রাসেলের কাছে বারবার যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন সোহেল রানা।  বলেন, ‘আমি অসুস্থতার জন্য ভারতে যেতাম। বর্তমানে আমি রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে কর্মরত।’ 

রাসেলের মা আলেকা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন ভারতে থাকে। শুনেছি সেখানকার এক হাসপাতালে চাকরি করে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ঈদুল ফিতরের আগে তাঁর বাড়িতে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর ছিলেন। 

ঢাকায় পূবালী ব্যাংকে কর্মরত রাসেলের বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো আমরাও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি তার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা। আমরা চাই অপরাধ করলে তার শাস্তি হোক।’  

সম্প্রতি ভারতে কিডনি পাচার চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গ্রেপ্তারকালে রাসেলের কক্ষ থেকে কিডনিদাতা ও গ্রহীতাদের  দুটি ডায়েরি ও ৯টি পাসপোর্ট জব্দ করেছে পুলিশ।

ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরেই  রাসেল ভারতে থাকেন। এলাকায় এলে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করেন।

বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক রোগী ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করান। ভারতে গ্রেপ্তারকৃতরা নিজ নিজ এলাকায় বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়ে কিডনিদাতাদের প্রলুব্ধ করতেন। দাতারা একেকটি কিডনির বিপরীতে ৫-৬  লাখ রুপি পেতেন। বিপরীতে চক্রটি একেকটি কিডনির জন্য রোগীদের কাছ থেকে ২৫-৩০ লাখ রুপি আদায় করত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই