1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের দখলে সরকারি কোয়ার্টার । - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের পাশে থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার — ৩ জন । ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো– সংবাদ সম্মেলনে –রায়হান অপু ,, তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে বিএনপি নেতা হামিদ দিনাজপুরে উঠতে শুরু করেছে বোরো ধান। শুরুতেই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ীরা। ইএলজিডি সড়ক পাকা (আর সি সি) ঢালায় পরিদর্শন ও উদ্বোধন সিএমপির চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে আটক-০৮ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের উপর হামলার পর উল্টো ২৭ সাংবাদিকের নামে মামলা : সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নিন্দা ও প্রতিবাদ ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক । ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ অফিস দখলে নিল জুলাই যোদ্ধারা ! ঠাকুরগাঁওয়ে শিল্প পণ্য বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন !

ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের দখলে সরকারি কোয়ার্টার ।

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯৬ Time View

ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের দখলে সরকারি কোয়ার্টার ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি কোয়ার্টারে থেকেও সময় মতো ভাড়া দেন না বলে, অভিযোগ উঠেছে। মাসে পর মাস বিনা ভাড়ায় বাস করছেন সরকারী বাসায়। আবার কেউ কেউ অন্য জেলায় বদলী হলেও কোয়ার্টারের ঘর নিজ দখলে রেখেছেন। আর এসব জেনেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন এভাবে চলে এলেও নেওয়া হয়নি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা। কোয়ার্টার বরাদ্দ-সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র বাসভবন বাদে পাথরাজ, শুক, সেনুয়া ও টাঙন নামে ১৪টি দ্বিতলা বৈশিষ্ট্য ভবন রয়েছে। সরকারি নিয়ন অনুযায়ী এই বাসাগুলোতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে বাসা ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে, এবং যারা অন্য জেলায় বদলী হয়ে গেছে তাঁরা ঘর নিজ দখলে রেখেছেন। তাদের বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও ঘর ছাড়ছেন না। এমতাবস্থায় বেকাদায় পড়েছেন উপজেলা কর্তৃপক্ষ। সরকারি কোয়ার্টারে তালিকায় রয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এলজিউডি’র কার্য-সহকারী আবু সাঈদ , উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মাবুদ হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসের গার্ড মো: বাবুল আক্তার, উপজেলা কৃষি অফিসের উচ্চমান সহকারী মো: মুঞ্জুর আলম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অফিস সহায়ক মো: রবিউল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস সহকারী মো: সফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের সিএ কাম-উচ্চমান সহকারী রেবা খাতুন, উপজেলা এলজিউডি’র সার্ভেয়ার মো: মফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালক মো: মুন্না, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: সাজ্জাত হোসেন, বিআরডিবি’র জুনিয়র অফিসার (হিসাব) মো: আবদুল হাই আল হাদী ও যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর জহির রায়হান।
প্রতিমাসে বাসা ভাড়া ৩ হাজার টাকা হলেও নিয়মিত কেউ ভাড়া পরিশোধ করেন না। তাঁর মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস সহকারী মো: সফিকুল ইসলামের বকেয়া রয়েছে ৭২ হাজার টাকা, মাবুদ হোসেনের ১৫ হাজার টাকা, আবু সাঈদের ১২ হাজার টাকা, বাবুল আক্তারের ৬ হাজার টাকা, মঞ্জুর আলমের ৬ হাজার টাকা, রবিউলের ১২ হাজার টাকা, বিপ্লব চন্দ্রের ৬ হাজার টাকা, রেবা খাতুনের ৯ হাজার টাকা, মফিজুর রহমানের ১৫ হাজার টাকা, মুন্নার ৬ হাজার টাকা, সাজ্জাতের ৬ হাজার টাকা, হাদীর ৯ হাজার টাকা ও জহির রায়হানের ৬ হাজার টাকা।
তবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এলজিউডি’র সার্ভেয়ার মো: মফিজুর রহমান পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ও এলজিউডি’র কার্য-সহকারী আবু সাঈদ নীলফামারির খানসামায় বদলি হলেও এখন পর্যন্ত তাঁরা দুজনেই কোয়ার্টার ছাড়েননি। এখনো তাঁরা বাসা দুইটি দখলে রেখেছেন। এ নিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলজইডি’র দুই কর্মকর্তাকে এর আগে কয়েক দফা ঘর ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হলেও তাঁরা নোটিশের কোনো জবাব না দিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সবশেষ গত বছরের ৬ নভেম্বরে আবারো ঘর ছাড়ার নোটিশ দেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষ। তবে বারবার আবেদন করেও ঘর না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁরা জানান, অনেকেই বদলী হওয়ার পরেও ঘর দখলে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ বছরের পর বছর ভাড়া পরিশোধ না করেই বসবাস করছেন। যারা ঘর ছাড়েন না তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহব্বান জানান তাঁরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসের একটি সূত্র বলছে, অনেক আগে রেজুলেশনের মাধ্যমে গেজেটেড কোয়ার্টারের ভাড়া ৩ হাজার টাকা টাকা নির্ধারণ করা হয়। অনেকে ঠিকমতো এই ভাড়াও দেন না বলে অভিযোগ। ফলে পরিষদ প্রতি মাসে অনেক টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঘর না ছাড়ার প্রসঙ্গে মফিজুর রহমান ও আবু সাঈদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে দেখিয়ে দেন।
জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, সদর উপজেলা কোয়ার্টারে ১৪টি পরিবার আছে। তাঁর মধ্যে দুইজন এরইমধ্যে বদলী হয়ে গেছে। যারা বদলী হয়েছে তাদের ঘর ছাড়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর যাদের বাসা ভাড়া বকেয়া রয়েছে তাদের দ্রুত সময়ে পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। এর পরেও যদি কেউ ভাড়া বা ঘর না ছাড়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
০১৭১৭৫৯০৪৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই