1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে শিশুদের আবদার ‘রাক্ষস এসেছি রে...চাল দে’ - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেলের পরিচালক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা শীঘ্রই সেনবাগে শুরু হতে যাচ্ছে “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি পৌর ক্রিকেট লীগ ২০২৫” বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার! বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর দুইদিন পার  দাফন নিয়ে সরকার ও পরিবার দ্বন্দ্বে মরদেহ হাসপাতালেই রামপুরহাটের বারমেশিয়া গ্রামে ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হয় এক আদিবাসী ছাত্রী বীরগঞ্জে বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম দিনব্যাপী দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া নৈরাজ্য : বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ! চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা চকবাজারের বাগদাদীয়া একাডেমির হেফজুল কোরআন বিভাগের সবক দান অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কণ্ঠে ভয়: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে স্বীকার করে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে শিশুদের আবদার ‘রাক্ষস এসেছি রে…চাল দে’

মোঃ মজিবুর রহমান,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
  • Update Time : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৭ Time View

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে শিশুদের আবদার ‘রাক্ষস এসেছি রে…চাল দে’

মোঃ মজিবুর রহমান,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:- গ্রামের পথে পথে ঘুরছে একদল শিশু। তাদের কয়েকজনের হাতে ঢোল। সঙ্গে আছে কাপড়-কাগজ দিয়ে বানানো এক ‘রাক্ষস’। দলটি বিভিন্ন বাড়ির উঠানে গিয়ে ডাক ছাড়ে ‘রাক্ষুস এসেছি রে…চাল দে। নইলে খেয়ে ফেলব তোকে!’ সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন বাসিন্দারা। হাসিমুখে শিশুদের থলেতে ঢেলে দিচ্ছেন কিছু চাল। আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামে দেখা মিলল এই শিশুদের। দলে ছিল বাঁধন, প্রান্ত, কৃষ্ণা, হৃদয়, অপূর্বসহ কয়েকজন। তাদের এই চাল সংগ্রহের উদ্দেশ্য বৈশাখী মেলা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে তারা যে চাল পাবে, তা বিক্রি করে সেই টাকায় মেলা থেকে কিনবে নানা জিনিস। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অপূর্ব বলে, ‘আজ এক গ্রাম ঘুরছি, ৩০ কেজির মতো চাল পেয়েছি। বিকেলে আরেক গ্রামে যাব। সব মিলিয়ে ভালো টাকা হবে।’ অপূর্বের সঙ্গে অন্য শিশুরা জানায়, মেলার দিন যেন তাদের কাছে এক স্বপ্নের মতো। সেখান থেকে কেউ কিনবে রসগোল্লা, বাতাসা, কেউ চড়বে নাগরদোলায়, কেউবা জড়ো হবে পুতুলনাচের আসরে। বেগুনবাড়ি এলাকার মহান্ত রায় বলেন, ‘এই চাল তোলার সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরে এই গ্রামে বৈশাখ এলে শিশুদের এমন উৎসবে মেতে ওঠার রেওয়াজ চলছে।’ দামপাড়ার রাধারানী রায় বলেন, ‘ওদের এভাবে আসতে দেখে খুব ভালো লাগে। আমি আজ আধা কেজি চাল দিয়েছি।’ পাশে দাঁড়ানো শশী মন যোগ করেন, ‘ছোটবেলায় আমরাও এভাবে চাল তুলে মেলায় যেতাম। তখন গরম-গরম জিলাপির ঘ্রাণে মেলা মাতত।’ স্থানীয় রাজনীতিবিদ আহসান হাবীব জানান, আগামীকাল সোমবার তাঁদের গ্রামে বৈশাখী মেলা বসবে। তার আগে শিশুর দল নেমেছে চাল সংগ্রহের অভিযানে। শিশুরা জানে না যে তাদের এই উল্লাস আসলে এক বিশাল সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অনুশীলন। কিন্তু বড়রা যাঁরা দেখছেন তাঁরা জানেন, এই উচ্ছ্বাস আসলে বাঙালির মাটির ঘ্রাণ। শিশুদের এমন উদ্যোগকে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে। তিনি বলেন, ‘এ এক আবহমান বাংলার রূপ। এই শিশুরাই আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ। সহজ-সরল নাটুকে ভঙ্গিতে তারা নির্মাণ করে এক অন্য রকম পৃথিবী। এটি শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠার একটি মাধ্যম।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই