আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে চাটখিলে নীরবে চলছে চাঁদাবাজি,
প্রতিবেদক ও সম্পাদক:দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ:-
নোয়াখালী চাটখিলে সমবায় দলের নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা বাজির অভিযোগ-গাঢাকা দিয়েছেন নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য সচিব শাহ আলম বাবলু (৪৭) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে অস্ত্র অর্থাৎ (পিস্তল ঠেকিয়ে) ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় ও আরো এক লাখ টাকা প্রদানের জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেয়। বাকী টাকা না দিলে তাকে গুম ও খুন করার হুমকির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে চাঁদা দাতা এবং পরকোট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাকির হোসেন (৫৭) বাদী হয়ে বাবলু সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর থেকে বাবলুসহ তার সহযোগিরা গা ঢাকা দিয়েছে।
ইউপি মেম্বার মোঃ জাকির হোসেনে এর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়,তার বাড়ীর মাহমুদুল করিমের সাথে পুকুরের মাছ নিয়ে তার বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধ এর জের ধরে করিম তার ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শাহ আলম বাবলু গত সোমবার সকাল নয়টার সময় বাবলুর ফোন নং-০১৭৬১.
৭৫০২৪২ থেকে আমার ০১৭২৬-৮৮২৫৪৩ নং এ ফোন করে আমাকে তার বাড়িতে যেতে বলে। ফোন পেয়ে আমি সরল বিশ্বাসে বাবলুর সাহাপুরের বাড়িতে যাই। সেখানে গেলে তার ঘরে ঢুকার পর তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে টেবিলের উপর দুটি পিস্তল রেখে আমাকে ভয়ভীতি দিয়ে বলে উপরের নির্দেশ আছে,তোমাকে এক বা একাধিক মামলায় জড়ানো হবে। মামলা থেকে বাঁচতে হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে ২ লাখ দিতে রাজি হই। এরপর আমার ফোন থেকে আমি সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলমের কাছে ফোন করে ২ লাখ টাকা ধার চাই। মোরশেদ আলম আমাকে ১ লাখ টাকা ধার দিতে সম্মত হওয়ার পর বাবলুর নির্দেশ মোতাবেক মোরশেদ আলম ঐ ১ লাখ টাকা সাহাপুর বাজারের পান দোকানদার রতনের কাছে নিয়ে দেয়। বাবলুর সহযোগি তার বাড়ির বাবু গিয়ে রতনের কাছ থেকে টাকা এনে বাবলুর কাছে দেয়। তখন বাবলু আমাকে বলে বাকী ১ লাখ টাকা এক মাসের মধ্যে দিতে হবে। এসব বিষয়ে কাউকে জানালে বা আইনের আশ্রয় নিলে আমাকে গুম,খুনের হুমকি প্রদান করে। এরপর আমি সেখানে থেকে চলে আসি। এ বিষয়ে জানার জন্য সমবায় দলের নেতা বাবলুর মুঠো ফোনে বার বার ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,অভিযোগের পর থেকে তিনি ও সঙ্গীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ!কে বলেন,ঘটনা তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং উল্লেখ্য যে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে চাটখিলে নীরবে চাঁদাবাজি চলছে বলে এলাকাবাসী অনেকেই অভিযোগ করেছেন।