নোয়াখালী জেলার চাটখিলের উপজেলার ৭ নং হাটপুকুরিয়া ইউনিয়ন ঘাটলাবাগে মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ
দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ রিপোর্টঃ-
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৭ নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ঘাটলাবাগে গ্রামের মনরুউদ্দিন বেপারী বাড়ির, মা ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার ঘটনার সাথে জড়িত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে চাটখিল থানার পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এক অভিযান পরিচালনা করে চাটখিল থানার পুলিশ ঘাটলাবাগ থেকে রুবেল হোসেন (৩৮)কে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে ঘাটলাবাগে গ্রামের মনরুউদ্দিন বেপারী বাড়ির,খুকি বেগমের সাথে একই বাড়ির মায়া বেগমের
কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াঝাঁটি হয়। এ সময় মায়া বেগমের স্বামীআসামি রুবেল ও তার পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০),মাতা রৌশন আরা বেগম (৫২) এসে খুকি বেগমের উপর হামলা করে। আসামিরা খুকি বেগমের ঘরে প্রবেশ করে তাকে বেদম মারপিট করে। ঘটনার দিন বিকেলে খুকি বেগমের ছেলে মোরশেদ আলম,বাজার থেকে এসে এ ঘটনা শুনে আসামিদের ঘটনার বিষয় জিজ্ঞেস করতে যায়। তখন আসামিরা একজোট হয় মোরশেদ আলমকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে তাদের ঘরে চলে আসে। আসামিরা মোরশেদ আলমের ঘরে ঢুকে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আসামিদের কোপে মোরশেদ আলমের বাম কান কেটে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় মোশেদ আলম কে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মাইজদী ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার কোন উন্নতি না হলে মোরশেদ আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মোরশেদ আলম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উক্ত ঘটনায় মোরশেদ আলমের মা খুকি বেগম বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের বিষয় চাটখিল থানাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে উক্ত ঘটনা তদন্ত করে থানা পুলিশ গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি নিয়মিত মামলার রুজু করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী,দৈনিক বাংলার মুক্তকন্ঠ কে জানান,থানার নিয়মিত মামলায় রুবেল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলা তদন্তধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।