স্বামীর বিরুদ্ধে জমি দখল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেন স্ত্রী৷
জাহাঈীর আলম জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী এর পিএস উপ সচিব ( বর্তমান ওএসডি) ফারহান শফিকের নেতৃত্বে বেআইনি প্রভাব খাটিয়ে মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় অধিগ্রহনের ক্ষতি পূরণ বাবদ ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা মূলক ভাবে উত্তোলন ও আত্মসাত এবং ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা খবর পরিবেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.
মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জামালপুর পৌর শহরের ইদিলপুর মৌজার ডাকপাড়া এলাকায় জমি দখলের অভিযোগে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নাসরিন জেবা সুমি। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের মেডিকেল রোডের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন সুমি জানান নালিশী জমি তার পৈত্রিক সম্পত্তি, এ জমির বিষয়ে তার স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন জেবা সুমি ও সুমির মা নাদিরা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। নাসরিন জেবা সুমি পিতা মৃত আব্দুল জব্বার পৌর শহরের বিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডিশনাল ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও আব্দুল জব্বারের মেয়ে নাসরিন জেবা সুমি অভিযোগ কওে বলেন, ‘এসএম মোরশেদ আলম কনক তাঁর ছোট ভগ্নিপতি সরিষাবাড়ীর বাসিন্দা সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর পিএস উপ-সচিব (বর্তমানে ওসডি) ফারহান শফিকুর রহমান বেআইনীভাবে প্রভাব খাটিয়ে মোকাদ্দমা চলামান থাকাবস্থায় জামালপুর এলএ শাখা থেকে ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ডাকপাড়া এলাকার একটি জমি দাবি করে এসএম মোরশেদ আলম কনক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই জমিটি আমার দাদা নূরল হক সরকার ১৯৫২ সালে আমার বাবা এসএম আব্দুল জব্বার ও কনকের বাবা এসএম তৈয়বুর রহমানের নামে কিনেছিলেন। সেই সময় আমার বাবা ও কনকের বাবা নাবালক ছিলেন। পরে ১৯৮৮ সালে পারিবারিকভাবে পৈত্রিক জমি বন্টন করলে ফসল না হওয়ার কারনে সেই জমি নিতে অনীহা প্রকাশ করেন কনকের বাবা। সেই জমির পরিবর্তে তিনি সাহাপুর মৌজা ও কৃষ্ণচরণপুর মৌজার জমি গ্রহন করে ভোগদখল করেন। সেই মতে কনকের বাবা মরহুম তৈয়ব জমি বিক্রি করে দেন। পরে ডাকপাড়ায় ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা ও গ্যাস লাইন যাওয়া জমির দাম বেড়ে গেলে ২০১৭ সালে ডিজিটাল জরিপ আসলে ওই জমি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অনেক বৈঠক হলেও কোন সুরহা হয়নি। ডাকপাড়ার জমির পরিবর্তে কনকের বাবা তৈয়ব দুই মৌজার তিন দাগে জমি নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তো তারা এই জমির দাবি করতে পারেন না।
তিনি আরো জানান, ওই জমি কনকের বাবা তৈয়ব না নেওয়ায় পারিবারিক বন্টনে এসএম আব্দুল জব্বার ও এসএম আব্দুল হালিম নিয়ে বিআরএস রেকর্ড করে ভোগদখল করছেন। এই জমি তাদের কোন দিনও দখলে ছিল না। তাহলে আমার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে কিভাবে দখল করেছে। আর এটা আমাদের পারিবাকি বিষয় এখানে আমার স্বামী রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজির কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অন লাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।