1. admin@banglarmuktokontho.com : admin :
ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ - বাংলার মুক্ত কন্ঠ
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেলের পরিচালক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা শীঘ্রই সেনবাগে শুরু হতে যাচ্ছে “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি পৌর ক্রিকেট লীগ ২০২৫” বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার! বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর দুইদিন পার  দাফন নিয়ে সরকার ও পরিবার দ্বন্দ্বে মরদেহ হাসপাতালেই রামপুরহাটের বারমেশিয়া গ্রামে ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হয় এক আদিবাসী ছাত্রী বীরগঞ্জে বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম দিনব্যাপী দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া নৈরাজ্য : বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ! চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকা চকবাজারের বাগদাদীয়া একাডেমির হেফজুল কোরআন বিভাগের সবক দান অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কণ্ঠে ভয়: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে স্বীকার করে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৮ Time View

ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ছুটি নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। এছাড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এসআই ফরিদকে ছাত্রদের দাবির মুখে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীয়করণ, ঘুষ বাণিজ্য ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে ছাত্ররা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। ছাত্রদের কঠোর মনোভাবের কারণে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ৩ দিনের ছুটি নিয়ে এক রকম কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান। ২৫ ব্যাচের এই বিসিএস কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে জেলা প্রশাসক দপ্তর, চক্ষু হাসপাতাল, কালেক্টরেট স্কুলসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তার দুর্ব্যবহারে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন অতিষ্ঠ। জেলা প্রশাসকের চেয়ারে বসে তিনি দলীয় নেতার মতো আচার আচরণ করতেন বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা অভিযোগ করে। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বিক্ষোভের মুখে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন। জেলা প্রশাসক অফিসের পর বিক্ষুদ্ধ ছাত্রজনতা ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদকে অপসারণে দাবী জানাতে থাকেন। এ সময় পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাবিক মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরাইরা ও সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করে ছাত্র আন্দোলনের সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ছাত্রনেতারা দ্রæত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ ছাড়ার আল্টিমেটাম দিলে পুলিশ সুপার ছাত্রদের দাবীর মুখে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদকে ছুটি দিয়ে কর্মস্থল ছাড়ার কথা জানান। এ সময় বিপুল সংখ্যক ছাত্রজনতা ভুয়া ভুয়া বলে শ্লোগান দিতে দিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ত্যাগ করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রতœা খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, বখতিয়ার মাহমুদ, মাহবুব আলম মিলু ও আব্দুস সালামসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমন্বয়ক আবু হুরায়রা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রশাসনে ফ্যাসিষ্ট খুনি হাসিনার কোন দোসরকে রাখা হবে না। তারা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে আবারো আ’লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ নিজেদের ছাত্রলীগের টোকাই কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার ভুমিকা ছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর মতো। এর আগে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দলীয়করণ, নিয়োগ বাণিজ্য ও স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার অভিযোগ তোলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 বাংলার মুক্ত কন্ঠ
সাইট নির্মাণ করেছেন ক্লাউড ভাই