ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বিএনপির লিটন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
মহিউদ্দিন মহি খন্দকার
ফেনী প্রতিনিধি ॥
ফেনী জেলার ফুলগাজীর মুন্সীরহাট মেটাল এন্ড ওর্য়াকসপ এর মিস্ত্রি এখন কোটি টাকার মালিক।
মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ব্যর্থ এই লিটন চৌধুরী অর্থ ও রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তার করতে আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের একজন দালাল হিসেবে কাজ করে এজেন্ট ব্যাংকে শেয়ার মালিক হয়ে গেছেন।
মুন্সীরহাট বাজারে বিএনপির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধান্দা বাজীর সাথে জড়িত সাইফ উদ্দিন লিটন চৌধুরী।
তিনি মুন্সীরহাট আলী আজম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর অভিবাবক সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন ২০১৮ সালে এখানে ব্যর্থ হয়ে, তার মেয়েকে সিনিয়র মাদ্রাসা ভর্তি করান। পরবর্তীতে ২০২২ সালে মুন্সীরহাট সিনিয়র ডিগ্রী মাদরাসার অভিবাবক সদস্য পদে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগের একরাম পাটোয়ারী ও জাসদ আবুল খায়ের মেম্বার কে লক্ষ টাকার বিনিময়ে জয়লাভ করেন। গত বছর মাদরাসার একটি অনুষ্ঠানে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসেন বলে জানা যায়।
বিশেষ সুত্রে জানা গিয়েছে, মুন্সীরহাট বাজারের ওর্য়াকসপ ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতির প্রভাব বিস্তার করে জমি বেদখল, জমির দালালি সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তার পারিবারিক কলহে বিষয়ে মুন্সীরহাট বাজারের এলাকার মানুষ সবাই জানে।
দক্ষিণ তারালিয়া গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে মুন্সীরহাট স্কুলের দক্ষিণ পাশে কোটি টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেন। এই অর্থ এজেন্ট ব্যাংকে অর্থ অবৈধ ভাবে জনগণের অর্থ ব্যবহার করে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে এই লিটন চৌধুরী।
বাজারের মসজিদ কমিটি, স্কুল কমিটি, মাদরাসার কমিটি, বাজার কমিটির তালিকায় তার নাম থেকেই হবে যত টাকা বিনিময় হোক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নেতা কর্মীদের প্রভাব দেখিয়ে যাওয়া লক্ষেই তার এই অপচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মী তার কাছে তথ্য জানতে চাইলে, তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, তুমি কি আমার সাথে খেলতে চাও ঠিক আছে ” খেলা হবে ” বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
তাঁর উল্লেখ্য কর্মকাণ্ডে মুন্সীরহাট এলাকার ব্যবসায়ী ও জন সাধারণ অতিষ্ঠ, তার নিরবতা ও সরলতা ভাব দেখিয়ে ধোঁকা দিয়ে ধান্দা বাজী করে অবৈধ অর্থ সম্পদ বানিয়ে নিয়েছেন।
তাকে ফুলগাজী উপজেলার বিএনপির ও বিভিন্ন কমিটির তালিকায় আর দেখতে চান না এলাকার জনগণ।