গোপালগঞ্জে লাখো লাখো হিন্দু সনাতনীদের প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন।
বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – ব্যুরোচীফ গোপালগঞ্জ।
দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর হামলা,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট, ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট গোপালগঞ্জ জেলা শাখা ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র, যুবমহাজোট গোপালগঞ্জ জেলা শাখা এবং সকল শ্রেনীর হিন্দু সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ। লাখো লাখো হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল শ্রেনীর মানুষ একযোগে মিলিত হয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থান করেন। তাদের দাবি ও প্রতিবাদের শ্লোগানের শব্দ সমগ্র এলাকাজুড়ে কম্পিত হয়।চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সহ সকল সংখ্যালঘুদের প্রতি হামলা, নির্যাতন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,বাড়িঘর ভাংচুর, ধর্ষণ ও সকল প্রকার অত্যাচার বন্ধ ও বিচারের দাবিতে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার লহ্মে এ প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
উক্ত প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে শ্লোগানে শ্লোগানে সকল দাবির বিষয় উপস্থাপন করেন তারা।
আর সংখ্যালঘুদের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার,নির্যাতন, নিপিড়ীত, মন্দির- বাড়িঘর ভাংচুর সহ কোন অন্যায় মেনে নেবেন না এদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের জনগন,
তাদের প্রতিবাদের ভাষায় তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে,সকলে আমরা বাঙ্গালী এদেশ কারও বাপদাদার একার সম্পত্তি নয় যে কথায় কথায় দেশ ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হবে!
গোপালগঞ্জের উক্ত প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনের উপস্থিত সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের জনগনকে একযোগে একতাবদ্ধ হয়ে সকল নেতীবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহবান জানান সনাতনী নেতারা।
তারা আরও মত প্রকাশ করেন যে,এই বাংলা আমাদের মাতৃভূমি, এদেশ আমাদের স্বদেশ, কারও রক্তচক্ষুর ভয় আর বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পায় না। বিগত দিনগুলোতে এই বাংলায় সংখ্যালঘুদের প্রতি যে অমানবিক নিষ্ঠুর বর্বরতা চালানো হয়েছে তার জবাব চাওয়া হয় এ প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনে।প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনে নেতা কর্মীরা আরও বলেন যে,
এখন থেকে বাংলার হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃষ্টানদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভাবলে চলবেনা, সকলের বড় পরিচয় আমরা বাঙ্গালী। আর কোনো প্রকার অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন,নিপীড়ন, ভাংচুর, কোনো কিছুই মেনে নেওয়া হবেনা এই বাংলায়।
তার জন্য সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এক হয়ে লাগাতার আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন এ কর্মসূচিতে। সদ্য ঘটানো সকল নির্যাতনের বিচারের দাবি জানিয়ে হুশিয়ারি দেন প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনের নেতা কর্মীগন।