
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি দুর্জয় চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম (ওসি), চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানম সহ নয় জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা নিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নিহত দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী বাদি হয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নালিশি মামলাটি করেন। গত রোববার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মামুনুর রশীদ তাঁর আদালতে নালিশি মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাদি পক্ষের কৌশলী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ ভৌমিক মামলা রুজু এবং আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছে, চকরিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম, থানার সহকারী উপ- পরিদর্শক (এএসআই) মো. হানিফ মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল হোম্মদ মহিউদ্দীন, ইসরাক হোসেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানম, সহকারি শিক্ষক মো. জসীম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ পারভেজ, নৈশ প্রহরী নূর মোহাম্মদসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলেন, চকরিয়া থানা হাজতে স্কুলের অফিস সহকারী দুর্জয় চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিব-ারণ) আইনে থানার ওসি, এএসআই, দুই পুলিশ কনস্টেবল, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকা, সহকারী শিক্ষকসহ ৯ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা কমল চৌধুরী বাদি হয়ে জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন।
রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে চকরিয়া থানায় মামলাটি রুজু করতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলা রুজু করে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে আদেশে।