অবৈধ, অসাংবিধানিক, ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া সরকারের প্রহসন ও ষড়যন্ত্রের ক্যাঙারু কোর্ট বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ১৩ নভেম্বর- " ঢাকা লকডাউন " কর্মসূচি
আজ বাংলাদেশ এক নজিরবিহীন গণতান্ত্রিক অবক্ষয়, সাংবিধানিক বিপর্যয় এবং ভয়াবহ মাৎস্যন্যায়ের শিকার। যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ পরিণত হয়েছে প্রতিহিংসার হাতিয়ারে, যেখানে আইন-আদালতকে শেকলবন্দী করা হয়েছে, সেখানে চলমান এই বেআইনি শাসন ও বিচারিক নৈরাজ্যকে আর এক মুহূর্তও চলতে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের দুর্নিবার সেনানায়ক, আজ চরম ঘৃণা, ক্ষোভ ও ধিক্কারের সাথে ঘোষণা করছে যে, অবৈধ ও অসাংবিধানিক পথে রাষ্ট্রযন্ত্র জবরদখলকারী ইউনূস সরকার এবং তাদের প্রহসনের ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’ বিচারিক অরাজকতাকে বন্ধ করার লক্ষ্যে এবং আইন-ন্যায়বিচার-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আগামী ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ সর্বাত্মক *লকডাউন* কর্মসূচি পালিত হবে। এটি রাষ্ট্র দখলকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রতি বাংলার জনগণের চূড়ান্ত অনাস্থা জ্ঞাপন ও অনিবার্য পতনের বজ্রনিনাদ।
এই গণ-আন্দোলনের একমাত্র লক্ষ্য অবিলম্বে এই মাফিয়া, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, বিচারিক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ক্যাঙারু কোর্টের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা এবং দেশের সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করে জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করছে: ছাত্রলীগের একজন কর্মী এবং এদেশের একজন মুক্তিকামী তরুণ বেঁচে থাকা পর্যন্ত প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা-প্রহসনের এই অবৈধ বিচারের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের বিচার বাংলার মাটিতে নিশ্চিত করা হবেই হবে। জুলুমের এই ইতিহাসকে আমরা পরাজিত করে মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত করব।
কর্মসূচি:
লকডাউন কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে,
*আগামী ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিনব্যাপী) প্রারম্ভিক গণজাগরণ ও প্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, মশাল মিছিল, প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা, পৌর, কলেজ, মাদ্রাসা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল স্তরের সাংগঠনিক ইউনিটে বিক্ষোভ মিছিল, মশাল মিছিল, প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
*১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়িত হবে।
প্রহসন ও ষড়যন্ত্রের ক্যাঙারু কোর্ট বাতিল, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, প্রহসনের নির্বাচন প্রতিরোধ করে অবাধ-স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ-অন্তর্ভুক্তিমূলক-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচির বাস্তবায়নে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ছাত্রজনতার প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য: জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষাকারী সকল প্রকার জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসাসেবা সহ অন্যান্য জরুরি বিষয়াদি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
১৩ নভেম্বরের এই সর্বাত্মক *লকডাউন* কেবল একটি দিন নয়; এটি অবৈধ সরকারের প্রতি বাংলার জনতার চূড়ান্ত আঘাত, সাংবিধানিক-নাগরিক-রাজনৈতিক অধিকার পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক সূচনা এবং আধুনিক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রতিফলন। যতক্ষণ না এই অবিচারের সাম্রাজ্যের অবসান হচ্ছে, বর্তমান ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থার ইতি ঘটছে এবং অবৈধ সরকার উৎখাত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলবে। জনতার জয় অনিবার্য।
সারা বাংলা হয়েছে জোট, নৌকা ছাড়া কীসের ভোট।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।