শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যদি কাউকে সাধারণ মানুষের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু বলা যায়, নিঃসন্দেহে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের যে অঙ্গীকার তিনি গ্রহণ করেছিলেন, তা বাস্তবে রূপ দিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন দীর্ঘ চার দশক ধরে। তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন হলো—দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠা।
ভাত, কাপড়, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থান—এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদাকে তিনি শুধুমাত্র নীতিগত প্রতিশ্রুতি হিসেবে নয়, বাস্তব জীবনের সাফল্যে রূপ দিয়েছেন। গ্রামের কৃষক, শহরের রিকশাচালক, গার্মেন্টস শ্রমিক কিংবা প্রান্তিক নারীরা আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেন। দারিদ্র্যের হার যা একসময় ছিল দেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ, তা আজ নেমে এসেছে ঐতিহাসিকভাবে নিম্নতম পর্যায়ে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এসব মেগা প্রকল্প শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, বরং জাতির আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাঙালি জাতি চাইলে নিজের অর্থে, নিজের শক্তিতে, নিজের গৌরবে দাঁড়াতে পারে।
তবে তাঁর অর্জনের তালিকা কেবল উন্নয়নমূলক কাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী বৃদ্ধ, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চালু করেছেন একের পর এক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। লক্ষ লক্ষ পরিবার আজ ভরসা পাচ্ছে সরকারি ভাতা ও সহায়তার মাধ্যমে। “কারও যেন অভাবে না কাঁদতে হয়” এই মানবিক দর্শনই তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের মূলে।
অবশ্য পথটা একেবারেই মসৃণ ছিল না। কোভিড মহামারির সময় বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, বাংলাদেশও তার বাইরে ছিল না। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া, শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং রেমিট্যান্সে চাপ—সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা থমকে যায়। কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বেই দেশ ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায়। তাঁর নীতি ছিল স্পষ্ট “জীবন ও জীবিকা দুটোই রক্ষা করতে হবে।” সেই লক্ষ্যেই একদিকে টিকাদান কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়, অন্যদিকে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন সচল রাখা হয়।
এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট তৈরি করে, তখনও তিনি বাস্তববাদী সিদ্ধান্ত নিয়ে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন। খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে তিনি কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন, জনগণকে নিজস্ব উৎপাদনে উৎসাহিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ বোঝে বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতার মধ্যেও শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে যতটা সম্ভব স্থিতিশীল রেখেছেন।
আজকের বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার প্রসার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপ্লব সব কিছুর পেছনে এই এক নারীর অক্লান্ত পরিশ্রম। তাঁর নেতৃত্বে আজ মেয়েরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, চাকরি পাচ্ছে, ব্যবসা করছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে। “ডিজিটাল বাংলাদেশ” থেকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” এই অভিযাত্রা আসলে এক পরিবর্তনের প্রতীক, যা শেখ হাসিনা জাতিকে উপহার দিয়েছেন।
রাজনীতি যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক না কেন, জনগণ সবসময় অনুভব করে কে তাদের পাশে আছে। দেশের গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ জানে তাদের সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসা বা ভবিষ্যৎ নিয়ে যে সরকার চিন্তা করে, তার নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণের রায় কোন দিকে যাবে, তা আগেই বলা যায়।
শেখ হাসিনা কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতীক, মানুষের আশার বাতিঘর। জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনই তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি।
এ দেশের সাধারণ মানুষ আজ প্রস্তুত, আবারও তাঁকে ভোট দিতে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে।
শুধু সময়ের অপেক্ষা, খুব শিগগিরই জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা আবারও শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
আর তখন নতুন স্বপ্নে, নতুন দিগন্তে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে।
ড: ইউনুস অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলের পর সকল অর্জন আজ থেমে গেছে, ধংসের পথে দেশ। অবৈধ সরকার হটাতে না,পারলে আমাদের দেশটি পৃথিবীর দারিদ্রতম দেশে পরিনত হবে।