যে বিশ্ব প্রভাব কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ডক্টর ইউনূস এবার সেই বিশ্ব প্রভাবই চাপে রেখেছে। পতন হতে পারে ইউনূস সরকারের। অলরেডি সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ইউনূস সরকার এবং পেয়েছেন স্বৈরাচারের তকমা। জুলাই আন্দোলনে ম্যাটিকুলাস ডিজাইনে ক্ষমতায় এসেছেন তা আজ সারাবিশ্ব অবগত। তিনি নিজেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকার করেছেন ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের কথা যা জুলাই আন্দোলনে সকল হ*ত্যার দায় তার নিজের।
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডক্টর ইউনূস এবং আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন যা অবাধ গণতন্ত্রকে বাঁধাগ্রস্ত করে।
উল্লেখ্য ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে হ*ত্যা করা হচ্ছে। আবার অনেক নেতাকর্মীদের নি*র্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মব করে মিথ্যা হ*ত্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। আবার কারাগারেও অনেক নেতাকর্মীদের পরিকল্পিত হ*ত্যা করা হচ্ছে! বাড়িঘর ও ব্যবসা দখল এবং ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের না পেয়ে আত্মীয়দের নি*র্যাতন ও হ*ত্যা করা হচ্ছে। মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অযাচিত হস্তক্ষেপ করে গ্রেফতার করছে এবং সরকারি দল মব সৃষ্টি করছে।
এইদিকে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ভেঙে গেছে। সরকার পন্থী রাজনৈতিক দল গুলো লুটপাট এবং দখলদারিত্বে নিয়োজিত আছে। সমাজে অপরাধ বেড়ে গেছে , নারী ও শিশু নি*র্যাতন বেড়েছে, নদীতে লা*শ, নারী ধ*র্ষণ ও হ*ত্যা, চাঁ*দাবাজি, সরকারি নিয়োগে অনিয়ম, উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের লাগামহীন দুর্নীতি, অর্থ পাচার সহ মৌলবাদী জ*ঙ্গি উত্থান দেশের সার্বিক কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইউনূস সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬ টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক, আর্থিক ও বানিজ্যিক সহযোগী দেশগুলো সকল সম্পর্ক স্থগিত রেখেছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সহ সামরিক বাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যা সরকার পতনের পূর্ব লক্ষণ। বিশ্লেষকরা মনে করছে হয়তো আগামী মাসের মধ্যেই ইউনূস সরকারের পতন হতে যাচ্ছে।