ফেনীতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি মামলায় জড়িত মামুনুল ইসলাম মল্লিক,, ফেনী সদর মজলিশপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছোট ছেলে মামুনুল ইসলাম মল্লিক পেশায় একজন দলিল লেখক।
তিনি ফেনীর রেজিস্ট্রারের কার্যালয় এর উত্তর পাশে দলিল লেখক হিসেবে একটি অফিস দিয়ে; বিভিন্ন সময় ফেনী জর্জ কোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে; দীর্ঘদিন যাবত মামুনুল ইসলাম মল্লিক আইনজীবী পরিচয় দিয়ে চেম্বার করেন ফেনী ট্র্যাং রোড়ের শিশু নিকেতন এর পাশে একটি কম্পিউটার ফোটোকপি দোকানে। এখানে বসে তদবির করতে গ্রাহক সংগ্রহ করে তাদের সাথে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে তাকে ২৫ এপ্রিল ২০২১ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য কারণ দর্শানোর নোটিশ টি করার জন্য আওয়ামী লীগের আমলে তত্কালীন ফেনীর ধর্মপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মেম্বার থেকে অভিযোগ করেন।
মামুনুল ইসলাম মল্লিক পেশায় একজন দলিল লেখক হয়ে কিভাবে শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিচয় দিচ্ছেন এর পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে মামুনের কাছে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে কর্মী কে সঠিক তথ্য না দিয়ে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ করেন। ফেনীতে সাংবাদিকরা বড়ই সাংঘাতিক; তাকে অতিষ্ট করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে; আওয়ামী যুবলীগের নেতা নজরুল ইসলাম রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন মামলার জড়িত এবং হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে সে ঢাকায় পালাতক।
পালাতক নজরুল ইসলাম তার ভাই মামুনুল ইসলাম মল্লিক কে বুদ্ধি পরামর্শ আর্থ দিয়ে সহযোগিতায় করে এবং এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
এই মামুনুল ইসলাম (৪১) বাদী হয়ে তার ভাই হত্যা মামলার আসামি নজরুল ইসলাম (৪৩) কে এক নাম্বার স্বাক্ষী করে তার আরেক ভাই দলিল লেখক মীর মোহাম্মদ স্বপন এর বিরুদ্ধে জমি জায়গায় সম্পত্তির বিষয়ে ফেনী জর্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
মামলা নাম্বার সিআর ১৬৩০/২৫ উল্লেখ্য এই মামলার এজাহারে মামুনুল ইসলাম মল্লিক নিজেকে শিক্ষানবীশ আইনজীবী দাবি করেছেন।
আসলে কি তিনি আইনজীবী ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন; আমার শারীরিক অবস্থার কারণে আমার আইনজীবী পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি কয়েকটি মামলার জামিনে আছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিবাদী মীর মোহাম্মদ বলেন; উল্লেখ্য মামলা নং ১৬৩০/ ২৫ এর ঘটনার স্থল; মঠবাড়িয়া ভোটের দোকান, বাড়িটি আমার খরিদকৃত ও বসবাসরত সম্পত্তি। বাদী মামুনুল ইসলাম মজিলিশ পুর মল্লিক বাড়িতে থাকে না; বিগত ২০১৮/১৯ সাল থেকে পুরাতন রেজিস্ট্রারি অফিসের পশ্চিম পাশে একটি বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকেন। অভিযোগ পত্রে আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন দৈনিক সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বিশেষ অনুরোধ; সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।