?? ঝিনাইদহের সীমা রানীর কি তাহলে দুই স্বামী ??
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সীমা রানীকে নিয়ে সিমা রানীকে নিয়ে যশোরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এক নারীকে নিয়ে দুই পুরুষের প্রকাশ্য টানাটানি যেন সামাজিক অবক্ষয়ের নগ্ন রূপ উন্মোচন করেছে।
ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারীর সাথে কালীগঞ্জ বারোবাজারের সীমা রানীর ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন। এই সংসারে রয়েছে ছেলে-মেয়ে। কিন্তু পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের কারণে সীমা রানী প্রায়ই মানসিক চাপে ভুগছিলেন। অভিযোগ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যান তিনি।
এরপর সীমা রানীর পরিচয় ঘটে যশোরের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কোতোয়ালি থানার চত্বরের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে। সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। ফলে এক নারীর জন্য দুই স্বামীর মধ্যে তীব্র বিরোধ তৈরি হয়। গত সোমবার রাতে যশোরের একটি হোটেলে প্রবেশ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে দুই স্বামী প্রকাশ্যে স্ত্রীর দাবিতে টানাটানি শুরু করে।
প্রথম স্বামী বিকাশ অধিকারী দাবি করেন, “সীমা আমার আইনসিদ্ধ স্ত্রী। অন্য স্বামী পালপাড়ার বাসিন্দা বলেন, “তিনি এখন আমার স্ত্রী, আমরা বিবাহিত। এ নিয়ে হাতাহাতি, চড়াও হওয়া এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সীমা রানী বলেন,
প্রথম স্বামীর সংসারে আমি বহু বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। পরবর্তীতে নতুনভাবে বিবাহ করি।
এই ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্ব নয়, বরং সমাজের গভীর সংকটকে সামনে নিয়ে আসে। একদিকে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও সহিংসতা। অন্যদিকে আইনি প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে নতুন সম্পর্কে জড়ানো।
সর্বোপরি, জনসম্মুখে এমন কাণ্ড আমাদের সামাজিক শৃঙ্খলার চরম অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি।